পঞ্চম মহান যোদ্ধা, জোনাথন জেমস বা জ্যাক ওয়েস্ট জুনিয়র নিজেকে আবিষ্কার করলেন অন্ধকার গভীর গুহার একটি সেলে। সেলের ভেতর জ্ঞান ফেরার পর নিজের অবস্থান ঠিকমতো বোঝার আগেই মুখোমুখি হলেন ষাঁড়ের বর্ম পড়া অর্ধ-মানব এক মিনোটরের, যে কিনা তার দিকে তেড়ে আসছে খুন করার উদ্দেশ্যে। নিজের প্রাণ বাঁচাতেই জ্যাক মিনোটরটাকে খুন করে সেল থেকে বেরিয়ে আসেন এবং অবাক হয়ে লক্ষ্য করেন তিনি আছেন এক বিশাল রণক্ষেত্রে, যাকে দেখলেই মনে হয় "গ্লাডিয়েটরদের রণক্ষেত্র"। রণক্ষেত্রের দেয়ালঘেঁষে আরো পনেরোটি দরজা আছে যার তেরোটি দরজায় দাঁড়িয়ে আছ হেলমেট ও বিভিন্ন ধরণের মিলিটারি ইউনিফর্মে অস্ত্রসহ সুসজ্জিত তেরোজন মানুষ এবং বাকী দুটি দরজায় দুটি মিনোটর। তাদের মাঝে একমাত্র জ্যাকই জিন্স, টি-শার্ট এবং মিনোটরের পা থেকে খুলে আনা অতিরিক্ত বড় বুটের জুতো পরে অপ্রস্তুত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। হাতে কেবলমাত্র মৃত মিনোটরের মুখোশ এবং ছুরি।
সেখানেই জ্যাক জানতে পারলেন তিনি আছেন হেডিসের প্রেতপুরীতে এবং অংশগ্রহণ করছেন এক কিংবদন্তী মারাত্মক জীবনবিধ্বংসী খেলা - 'দ্য গ্রেট গেমস অফ দ্য হাইড্রা'-য়। যার সম্পর্কে তার কোন ধারণাই নেই। নেই কোন প্রস্তুতি। তাকে অপহরণ করে নিয়ে আসা হয়েছে এখানে। অথচ পিছিয়ে আসার কোন উপায় নেই। পিছিয়ে আসতে চাইলেই অপেক্ষা করছে মৃত্যু - তার নিজের এবং হোস্টেজদের।
অগ্যতা সামনেই এগিয়ে গেলেন জ্যাক এবং মুখোমুখি হলেন সুদক্ষ চ্যাম্পিয়নদের। তিনি আরো জানতে পারলেন পৃথিবীকে ধ্বংস করতে আলোর চেয়েও দ্রুতগতিতে এগিয়ে আসছে হাইড্রা গ্যালাক্সি। পৃথিবীকে রক্ষা করতে হলে প্রাচীন নিয়মে এই খেলার মাধ্যমে উদ্ধার করতে হবে নয়টি গোলক এবং তাদেরকে স্থাপন করতে হবে মন্দিরের বিশেষ জায়গায়। গোলক থেকে যথাযথ সিগনাল গেলেই হাইড্রা গ্যালাক্সি গতিপথ পরিবর্তন করে ফিরে যাবে, পৃথিবী রক্ষা পাবে এবং রাজাদের রাজা পাবেন প্রাচীন জ্ঞান।
শেষ পর্যন্ত কি হবে, কেমন করে এখান থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে এবং মনের ভেতর জন্ম নেয়া অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে বইটা পড়তে হবে।