গত একবছর ধরে কারারুদ্ধ হয়ে থাকার পরেও বোস্টন শহরে সার্জন যেন এক আতঙ্কের নাম। বিশেষ করে হোমিসাইড ডিটেকটিভ জেন রিজোলির মধ্যে-যার দুঃস্বপ্নের অংশ হয়ে আছে সে। কিন্তু এবার আরও একজন নতুন খুনি মেতে উঠেছে নিজের নৃশংস খেলায়। রাতে বাড়িতে ঢুকে দম্পতিদের ওপরে করছে আক্রমণ; স্বামীকে হত্যা করে অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে স্ত্রীকে। যার সাথে সার্জনের কাজের সাদৃশ্য খুঁজে পাচ্ছে রিজোলি। অন্যদিকে এফবিআই এজেন্ট গ্যাব্রিয়েল ডিন ভিন্ন কোনো আগ্রহে এগিয়ে এসেছে এই কেসটির তদন্তে। তার এই অনাকাক্সিক্ষত অনুপ্রবেশ সন্দেহজনক মনে হয় রিজোলির কাছে। কী এমন আছে যা এই কেসটিকে ভিন্ন এবং আরও বেশি ভয়ঙ্কর করে তুলেছে?
রহস্য যখন ক্রমে ঘনীভূত হতে শুরু করলো, ঠিক তখনই সবাইকে হতবিহ্বল করে কারাগার থেকে পালিয়ে যায় সার্জন। মাস্টার ও তার অ্যাপ্রেন্টিস একে অপরের সান্নিধ্যে এসে শুরু করে আরও কিছু লোমহর্ষক খেলা...
চমৎকার কিছু চরিত্রের সাথে মেডিক্যাল ও পুলিশ প্রসিডিউরালের বর্ণনাগুলো গেরিটসেন’র ট্রেডমার্কের মধ্যে পড়ে। 'রিজোলি অ্যান্ড আইয়েলস সিরিজ'র দ্বিতীয় উপন্যাস ‘দি অ্যাপ্রেন্টিস’ লেখিকার একটি অনবদ্য সৃষ্টি—যার কাহিনি পাঠককে দেবে এক লোমহর্ষক অনুভূতি।
একটি ক্লাসিক পেজ টার্নার যাতে উত্তেজনার মুহূর্তগুলো পরিপূর্ণভাবে রয়েছে। গেরিটসেন একজন শিল্পী। —ডেইলি মিরর
যদি অসাধারণ পর্যায়ের কোনো ক্রাইম মেডিসিন পড়ার প্রয়োজন পড়ে তাহলে এই বইটি নিঃসন্দেহে আপনার মনোযোগ ধরে রাখবে। —মেইল অন সানডে
মাস্টারফুল... এই বইতে গেরিটসেন নিজস্ব আঙ্গিকে থমাস হ্যারিসের পর্যায়ে উন্নীত হয়েছেন। বরাবরের মতো এতেও এমন কিছু বর্ণনা ও চরিত্র আছে যা আপনার আবেগকে নিজের দিকে টেনে নেবে। বি. দ্র. ঘুমাতে যাবার আগে কিংবা বাড়িতে একা থাকলে এই বই পড়বেন না।