বেয়ারাকে কাছে ডেকে উপেন দূরের গাছতলার দিকে তাকিয়ে নির্দেশ দেয়, “ওদের চলে যেতে বল।”
চক্রবর্তী প্রশ্ন করেন, “কে ওরা?”
“কোথা থেকে একটা বাচ্চাকে নিয়ে এসে বলছে...”
সাগ্রহে লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়ান চক্রবর্তী, “লেপার্ডের বাচ্চা?”
“না।”
“হরিণের? আমি জীবজন্তুর বাচ্চা বড়ো ভালোবাসি, মিস্টার রায়।”
উপেন হাসে। “না, না, বাচ্চা-টাচ্চা নয়।”
গাছতলার দিকে যাবার জন্য পা বাড়িয়ে ব্যস্তভাবে চক্রবর্তী বলেন, “ভাল্লুকের বাচ্চা বোধহয়।”
উপেন বাধা দিয়ে বলে, “মানুষের বাচ্চা।”
“মানুষের বাচ্চা !” হতাশ হয়ে আর যেন ক্ষুদ্র একটি তুচ্ছতার ধিক্কার ধ্বনিত করে বসে পড়েন চক্রবর্তী।
“সুজাতা” সুবোধ ঘোষের কালজয়ী এক সৃষ্টি। মেলোড্রামাটিক উপন্যাসটি আমাদেরকে অনুভূতিতে প্রতিটা মুহূর্তে দোলাবে। এ যেন এক মনস্তাত্ত্বিক খেলা। আপনাকে স্থির হতে দিবে না। এক মিনিট আগে বইয়ের যে চরিত্রকে ঘৃণার চোখে দেখবেন, ঠিক এক মিনিট পরে তার জন্য এক ধরনের সহানুভূতি কাজ করবে। পুরো বইয়ে লেখক পাঠকের সাথে এক মনস্তাত্ত্বিক খেলা খেলেছেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চলছে সেই খেলা। যা আপনার ভেতর এক অন্যরকম অনুভূতি সৃষ্টি করবে।
বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৬১ সালে। অনেক বছর বইটির কোনো সংস্করণ বাজারে নেই। এমন একটা বই সাহিত্যপ্রেমীরা পড়তে চাইবেন অবশ্যই।