বিভাজনের ফলে দূর্বল হয়ে পড়েছে এক সময়কার পরাক্রমশালী রাজ্য অযোধ্যা। ভয়ানক এক যুদ্ধের ফল এটা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও ছিল সীমাহীন। লঙ্কার রাজা, রাক্ষসরাজ রাবণ পরাজিতের ওপর রাজনৈতিক শাসন নয়, বরং এর পরিবর্তে চাপিয়ে দিয়েছে বাণিজ্যিক নিয়ন্ত্রণ। ফলে দূর্নীতি, দারিদ্র্য এবং হতাশার অতলে তলিয়ে যেতে শুরু করলো সপ্তসিন্ধুর প্রজারা। এই অভিশাপ থেকে পরিত্রাণ পেতে একজন নেতার জন্য ব্যাকুলভাবে প্রার্থনা করছে তারা, যে তাদেরকে বের করে আনবে এই নরক থেকে। কিন্তু তাদের মধ্য থেকে খুব কম লোকই বুঝতে পারল সত্যটা : তাদের সেই নেতা তাদের মধ্যেই আছে। এমন একজন যাকে তারা চেনে। নির্যাতিত ও রাজ্য থেকে বহিষ্কৃত এক রাজপুত্র, যাকে তারা ছুড়ে ফেলে দিতে চেয়েছিল। রাজপুত্র রাম নামে যিনি পরিচিত।
দেশবাসীর শত লাঞ্ছনা সত্ত্বেও তার দেশপ্রেম ছিল অসামান্য। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় একাই লড়াই করতে সদা প্রস্তুত সে। অরাজকতার অন্ধকারের বিরুদ্ধে তার ভাইদের, স্ত্রী সীতা এবং তার নিজের লড়াইয়ের
গল্প এটা।
চাপিয়ে দেওয়া কলঙ্কের বোঝা দূরে সরিয়ে দিয়ে রাম কি পারবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে? সীতার প্রতি অন্তরের অন্তঃস্থলে জমে থাকা ভালোবাসা সংগ্রামের শেষ পর্যন্ত তার প্রেরণা উৎস হবে কি? তার শৈশবকে ছারখার করে দিয়েছে যে রাক্ষসরাজ রাবণ, তাকে পরাজিত ও চিরতরে নির্মূল করতে পারবে কি সে? পারবে কি পরবর্তী বিষ্ণু নিয়তিকে বাস্তবায়িত করতে?