বইটি সম্পর্কে অনুবাদক সাঈদ ইসলাম বলেন, ইতিহাস ও রাজনীতি হাতে হাত রেখেই চলে। সময় চলে যায়, শাসকের পতন হয়, থেকে যায় তার কর্ম। হতে পারে এশিয়ার গ্রাম, আফ্রিকার বিস্তীর্ণ বন বা ইউরোপের কোন নগররাষ্ট্র; পৃথিবীর একটি ধূলিকণাও শোষকের শকুন চক্ষু থেকে রেহায় পায় না। জেরুসালেম, ফিলিস্তিন বা কুদসের মাটি সম্ভবত পৃথিবীর ইতিহাসে সেই উত্তপ্ত লাভার সবচেয়ে প্রকৃষ্ট উদাহরণ। যেখানে বয়ানমাত্রই পুরুষতান্ত্রিক, ইতিহাস মাত্রই ফেব্রিকেটেড বাইবেল, সীমানা মানেই রক্তের পিচ্ছিলে সম্প্রসারণবাদ। প্রতিনিয়ত প্রচারণা যেখানে একপাক্ষিক, ভূমিপুত্রদের নিয়তি যেখানে উদবাস্তু, ভবিষ্যৎ যেখানে মুহাজিরের পথ সেই ভূমির ইতিহাস লিখেছেন নূর মাসালেহ। প্রাকৃতজনের মুখে বঞ্চনার ইতিহাসের বিপরীতে জায়োনিজমের ইউরোপীয় বয়ানকে চ্যালেঞ্জ করেছেনে নূর। তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালে এমাজনে বেস্ট সেলার হবার পর থেকেই বইটি দৃষ্টি কাড়ে বোদ্ধা পাঠকসহ সকল মহলে। বাংলাভাষী পাঠকদের জন্য তাই ফিলিস্তিন-ইসরাইলেরল এই ইতিহাস পাঠ জরুরি বিবেচনা থেকেই বইটির অনুবাদে হাত দেওয়া। অনুবাদ কতটা হৃদয়কে তাড়িত করে তা দিয়ে হয়তো ইতিহাস লেখা হয় না, তবে ইতিহাস কিভাবে সত্যকে উন্মোচন করে সে ভাষাকেই অনুবাদে রূপ দেয়ার চেষ্টা চালিয়েছি- অবশিষ্ট যা বলার পাঠকই বলবেন।