ইসলাম কারও শত্রু হতে আসেনি। ইসলাম এসেছে মানুষকে ভুলে যাওয়া ওয়াদা স্মরণ করিয়ে দিতে, যে ওয়াদা আমরা প্রত্যেকেই দিয়ে এসেছি আল্লাহর কাছে রূহের জগতে। এবং আমাদের আসল শত্রু ইবলিশ শয়তানকে চিনিয়ে দিতেই আল্লাহ্ পাঠিয়েছেন যুগে যুগে নবি রসূল। কিন্তু কিছু লোক সেই শত্রুকে ছেড়ে ইসলামকেই শত্রু হিশেবে নিয়েছে! এর পেছনে একাধিক কারণ থাকলেও অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে, নষ্ট হওয়া ফিতরাতি বুঝ। সহজাত বিবেক যে বিষয়ে সাক্ষ্য দেবার কথা অনায়াসে, সে বিষয়েই সে সংশয়গ্রস্ত বিভিন্ন যুক্তিতে। কখনো বিজ্ঞান, কখনো জাতীয়তাবাদ, কখনও-বা পশ্চিমাদের বুলির প্রতিফলন ঘটে তাদের মাঝে। আপাদমস্তক এদেরকে যুক্তিবাদী মনে হলেও বস্তুত এদের অধিকাংশই স্রেফ বিদ্বেষ পোষণকারী। সত্য-মিথ্যার মানদণ্ডকে ঘুরিয়ে দেয়া, অতঃপর জেনে বুঝে ইসলামের সাথে শত্রুতায় লিপ্ত হওয়া—এটাই এদের উদ্দেশ্য। নাস্তিক্যবাদের আড়ালে এভাবে ইসলাম বিদ্বেষ লালন শুরু হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগেই। তথাপি এদের কথার মারপ্যাঁচে পড়ে অনেক বুদ্ধিদীপ্ত যুবক-যুবতী ধরছে নাস্তিকতার পথ। এদের অনেকেই সত্য-সন্ধানী। সত্যের প্রতি বিনয়ী সেই যুব সমাজের জন্য আরিফ আজাদ নিয়ে আসে এই বাংলার জমিনে ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’। গল্পের আঙ্গিকে, যুক্তি এবং বিজ্ঞানের আলোকে সংশয়বাদীদের মাঝে প্রচলিত সকল প্রশ্নের জবাব তিনি লিখেছেন বইটিতে। ইতিপূর্বে পাঠক সমাজে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে এই বই। ছাত্র-শিক্ষক থেকে শুরু করে মানুষ দলে দলে কেনা শুরু করে বইটি এবং সংশয়ের পথ ছেড়ে ইসলামের পথে ফিরে আসে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২