বইটি কেন পড়বেন?
জ্যাক মা একজন চীনা ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী ও মানবহিতৈষী। তিনি বিশ্বের অন্যতম বড় অনলাইন শপ আলিবাবা’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা, প্রতিষ্ঠানটির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও নির্বাহী চেয়ারম্যান।
.
মুক্তবাজার অর্থনীতির অন্যতম প্রবক্তা এবং স্টার্টআপ বিজনেসের একজন রোল মডেল জ্যাক মা। তাঁকে চীনা ব্যবসা-বাণিজ্যের অলিখিত ‘গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ‘আলিবাবা’ এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা পাইকারি ও ই-কমার্স কোম্পানি, যা ‘পূবের আমাজন’ নামে পরিচিত।
.
ফোর্বস সাময়িকীর মতে, ৫৬ বছর বয়সী জ্যাক মা বর্তমানে চীনের চতুর্থ শীর্ষ ধনী এবং বিশ্বের ২৬তম শীর্ষ ধনী। ২০২১ সালে তাঁর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৮.৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার।
.
পৃথিবীজুড়ে মানুষ জ্যা মা’কে চেনে তাঁর অটল সংকল্পের কারণে। নিম্নবিত্ত এক পরিবারে জন্ম নেওয়া জ্যাক মা লেখাপড়ায় ভালো ছাত্র ছিলেন না। চাকরিতে আবেদন করে বারবার তাঁকে প্রত্যাখ্যাত হতে হয়েছিল। আলিবাবা প্রতিষ্ঠার আগে তিনি আরও দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেছিলেন। কিন্তু এদের কোনোটিই তখন সফলতার মুখ দেখেনি। বলা যায়, আলিবাবা প্রতিষ্ঠা করার আগে সত্যি সত্যিই একজন পুরোপুরি ব্যর্থ মানুষ ছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর জীবনের একটি শক্তিশালী দিক হলো তাঁর প্রবল ইচ্ছাশক্তি। কঠোর পরিশ্রম ও প্রবল ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে তিনি নতুন উদ্যমে, নতুন চিন্তা-ভাবনা নিয়ে হাজির হয়েছেন। শত প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে পৌঁছেছেন সাফল্যের শিখরে।
.
জ্যাক মা’র জীবন তাই একটি ইতিহাস এবং উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস। চরম দুরাবস্থা আর ব্যর্থতার মাঝে স্বপ্ন আর আশার আলো জ্বেলে রেখে জীবনযুদ্ধে সফল হওয়ার এক অনন্য উদাহরণ তিনি।
.
বর্তমান গ্রন্থটি পড়ে পাঠক জ্যাক মা’র ব্যক্তিগত জীবন ও ব্যবসায়িক উত্থানের গল্প জানার পাশাপাশি তাঁর সাফল্যের মূলমন্ত্র, অনুপ্রেরণামূলক উক্তি ও বক্তব্য এবং তাঁর মজার ও অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন, যা নিশ্চিতভাবেই তরুণ উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের অনুপ্রাণিত করে তুলবে। একইসঙ্গে তাঁরা পাবেন প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনাও।